a

আরাফাতের রোযা কোন দিন? ৮ যিলহজ্জ না ৯ যিলহজ্জ?

 আরাফাতের রোযা কোন দিন? ৮ যিলহজ্জ না ৯ যিলহজ্জ?


পৃথিবীর যে দেশে যখন ৯ যিলহজ্জ হবে সেদিনই হবে সে দেশের জন্য আরাফাতের রোযা রাখার দিন। যুগ যুগ ধরে উলামায়ে কিরাম চাঁদের উপর ভিত্তি করেই ৯ যিলহজ্জ আরাফার রোযা রেখে আসছেন। সে হিসেবে সৌদী আরব বা মধ্যপ্রাচ্যে বা তাদের চাঁদকে যারা অনুসরণ করেন তাদের জন্য আরাফাতের দিন হবে তাদের দেশের ৯ই যিলহজ্জ।


বাংলাদেশসহ যে সমস্ত দেশে এক দিন পরে চাঁদ দেখা হয়েছে, তাদের জন্য আরাফাতের দিন হবে নিজ দেশের ৯ই যিলহজ্জ। যেভাবে সৌদীর ১০ তারিখের সাথে বাংলাদেশে কুরবানী কিংবা ঈদ হবে না, ঠিক তেমনিভাবে সৌদীর ৯ তারিখে বাংলাদেশে আরাফাতের দিনও হবে না, আইয়ামে তাশরীকও হবে না, তাকবীরে তাশরীকও আরম্ভ হবে না।


মনে রাখতে হবে, আরাফার দিবসের রোযা ৯ যিলহজ্ব৷ ৮ যিলহজ্ব নয়৷ সুতরাং কেউ ৮ যিলহজ্জ রোযা রাখলে আরাফাতের দিনের রোযা রাখার সমান সওয়াব হবে না।


যারা হাজী সাহেবদের আরাফাতের ময়দানে অবস্থানের কারণে ঠিক সেই দিন রোযা রাখতে বলেন, প্রথমতঃ আরাফার দিবসের রোযা হাজীগণের কার্যক্রমের কোন অংশই নয়৷ হাজীগণ এ দিন উকুফে আরাফার আমল করলেও তাদের জন্যে এদিন রোযা রাখা মাকরূহ৷ সুতরাং হাজীগণের সাথে সাদৃশ্যেরও কিছু নেই এখানে৷ দ্বিতীয়তঃ সময়ের ভিন্নতার কারণে তাদের সাথে দিনের পূর্ণ অংশও পাওয়া যাবে না। তৃতীয়তঃ যদি কোন দেশে সৌদী আরবের আগে চাঁদ দেখা যায়, তাহলে যে দিন সৌদী আরবে আরাফাতের দিন হবে, সেদিন ঐ দেশে ১০ যিলহজ্জ তথা ঈদের দিন হবে, যেদিন রোযা রাখা নিষেধ। সুতরাং হাজী ছাহেবদের অবস্থানের সাথে রোযার সম্পর্কের যুক্তি মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।


Khairul Huda Khan খায়রুল হুদা খান

No comments

Powered by Blogger.